বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৯ জন করোনায় এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬ জন। করোনায় মারা যাওয়া নয়জনের বাড়িই বগুড়ায়। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান।
শুক্রবার (৯ জুলাই) ১২টায় বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- সদরের আব্দুল হাকিম(৪৯), শেরপুরের নাজমা(৬৭), আদমদীঘির শামসুননাহার(৫৫) ও বেদেনা(৪০), নন্দীগ্রামের আব্দুল জব্বার(৭০), কাহালুর মুসলেমা(৪৫), শাজাহানপুরের তানিয়া(২৫), দুপচাঁচিয়ার আগর আলী(৫৫) এবং সদরের ঠেঙামারা এলাকার বাদশা মিয়া(৬২)। এদের মধ্যে হাকিম, নাজমা, শামসুন নাহার ও বেদেনা সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে, জব্বার, মুসলেমা ও তানিয়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং আগর ও বাদশা মিয়া টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গ নিয়ে দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, ৮ জুলাই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। একই কলেজের জিন এক্সপার্ট মেশিনে ২৪ নমুনায় ১২জন এবং ১৬২ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আরো ৫৫জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৪ নমুনায় ১৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৫১২টি নমুনার নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১৭০ জন। এর মধ্যে সদরের ৯৬জন, শাজাহানপুরের ১৪জন, শিবগঞ্জে ৯জন, ধুনটে ৯জন, গাবতলীতে ৭জন, সারিয়াকান্দিতে ৬জন, দুপচাঁচিয়ায় ৬জন, নন্দীগ্রামে ৬জন, শেরপুরে ৬জন, কাহালুতে ৫জন, সোনাতলায় ৪জন এবং আদমদীঘিতে ২জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে সর্বশেষ ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত বগুড়ায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১৫৪২৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩৩৪৫ জন। মৃত্যু ৪৫৫ জন। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৬২৭ জন।