বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছেন। ৮ জনের মধ্যে বগুড়ার ২ জন এবং বাকি ৬ জন অন্য জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৩ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৩ জন, টিএমএসএস হাসপাতালে একজন এবং বাকি একজন নিজ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া একই দিনে তিন হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে শজিমেকে ২ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮ জন এবং বাকি একজন টিএমএসএস হাসপাতালে মারা গেছেন।
করোনায় মারা যাওয়া ৮ জন হলেন- গাইবান্ধা জেলার রেহানা (৯০), নওগাঁর মুসলেমা (৪০) ও রহমান সরকার (৬৩), জয়পুরহাটের মোর্শেদা (৪০), তবিবর (৬৮) ও বাবু (৩৫) এবং বগুড়া শিবগঞ্জের দুলাল (৮৫) ও আজাহার (৫০)। এদের মধ্যে আজাহার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ১২টায় বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৫ জুলাই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৮৮টি নমুনায় ৬৬ জনের, জিন এক্সপার্ট মেশিনে ৪টি নমুনায় ৩ জন পজিটিভ এবং এন্টিজেন পরীক্ষায় ২৫৯টি নমুনায় ৬০ জনের পজিটিভ এসেছে, ঢাকায় পাঠানো ২১৭ নমুনার ফলাফলে ৯৩ জন পজিটিভ এসেছে। এছাড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৮টি নমুনায় ১৬ জন করোনায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১০টি নমুনার নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৮ জন। এর মধ্যে সদরের ১৭৭ জন, শেরপুরে ১১ জন, দুপচাঁচিয়ায় ৯ জন, গাবতলীতে ৭ জন, কাহালুতে ৭ জন, সারিয়াকান্দিতে ৬ জন, ধুনটে ৬ জন, আদমদীঘিতে ৭ জন, সোনাতলায় ৩ জন, শাজাহানপুরে ৩ জন এবং শিবগঞ্জে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ সকালে সর্বশেষ ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত বগুড়ায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১৪৯৩১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩০৮৩ জন। মৃত্যু ৪৩৭ জন। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪১৩ জন।
ডা. তুহিন বলেন, যে ১১ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল পেলে জানানো হবে।