রবিবার পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘দোয়া ও আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
অনলাইনে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীম, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম পিন্টু এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সাহস, আপসহীনতা, দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য ভালোবাসা ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান জানানো হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা এবং বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
১৯৮১ সালে দলের হাল ধরেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। এই দুঃসময় ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা মনে রেখে আমাদেরকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যেতে হবে।
আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অদম্য সাহস নিয়ে তিনি জীবনের পরোয়া করেননি।
পদ-পদবীর লোভ না করে তিনি গভীরভাবে ভালবেসেছেন আওয়ামী লীগকে। জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, তবুও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি।