বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। বাঙালি জাতির নির্দিষ্ট মানচিত্রও তৈরি হতো না।
আজকে আমরা বাংলাদেশ পরিচয়ে বিদেশের দূতাবাসে, জাতি পরিচয়ে কর্মযজ্ঞ চালাতে পারতাম না।তাই বঙ্গবন্ধুর এ ঋণ কোনো দিন শোধ করার নয়।
নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তাই আপনারা নৌকা প্রতীককে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন।
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছিল। শেখ মুজিবের আহবানে সাড়া দিয়ে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদাররা হামলা শুরু করেছিল ঠিক তখনই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করেছিল।
৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধে বিজয় যে অবশ্যম্ভাবী সে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাঙালি তার নির্দেশ পালন করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়ন সবার সামনে আজ দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত।
কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।