বাগেরহাটের শরণখোলায় জমিজমা সংক্রান্ত বি’রোধের জের ধরে এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে বে’ধড়ক পি’টিয়ে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে (রোববার) ভোরে উপজেলার রাজৈর গ্রামে। আ’হতদের উদ্ধার করে একই দিন বিকেলে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারেজ (৬৪), বলেন বসত বাড়ীর সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মৎস্য আড়ৎদার মোঃ জামাল হাওলাদারের সাথে ৩/৪ বছর ধরে বি’রোধ চলে আসছিল। ওই বি’রোধপূর্ণ সম্পত্তিতে (রোববার) ভোররাতে গো’পনে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করে জামাল। এসময় আবুল হারেজ ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৪০), বাধা দিলে তাদের অ’শ্লীল ভাষায় গা’লমন্দ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধার নাম নিয়েও নানা ক’টুক্তি করেন জামাল।
মুক্তিযুদ্ধের ক’টুক্তির প্র’তিবাদ এবং অ’ন্যায়ভাবে সীমানা প্রাচীর তোলায় বা’ধাঁ দিলে এক পর্যায় জামাল (৪৮), তার ছেলে মারুফ (২২), স্ত্রী ফেরদৌসি (৩৮), মেয়ে সুমি (১৫), পুত্রবধু কমলা (২০), গাড়ী চালক লোকমান হোসেন (৩৫), সহ ৭/৮জন জোটবদ্ধ হয়ে তাদের দু’জনকে মা’রপিট শুরু করেন এবং ওই সময় পারভীন বেগমের শ্লী’লতা হানী ঘটনায় হা’মলাকারীরা। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী আঃ জব্বার হাওলাদার এগিয়ে গেলে তাকেও পি’টিয়ে পুকুরে ফেলে দেয় হা’মলাকারীরা।
হাম’লাকারীদের দৃ’ষ্টান্তমুলক শা’স্তির দাবী করেন মুক্তিযোদ্ধা হারেজ। তবে, মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদার বলেন, মা’রপিটের কোন ঘটনা ঘটে নাই। আমাকে হ’য়রানী করার জন্য নাটক সাজানো হয়েছে।