রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেল স্টেশনে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী দুইটি ট্রেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আড়ানী রেল স্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বর্দীগামী সিক্র ডাউন মেইল ট্রেন আড়ানী রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় খুলনাগামী কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আসছিল। কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনটি পাচ করার জন্য ২ নম্বর লাইন ক্লিয়ার করার কথা থাকলেও, তা না করে ১ নম্বর লাইন ক্লেয়ার ছিল। ফলে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির মুখোমুখি হয় কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনটি। কিন্তু কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনের চালক রুহুল আমিন সিরাজ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি দেখতে পেয়ে মুখোমুখি হওয়ার ১৫ গজ দুরে থামিয়ে দেন। এতে উভয় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ছুটাছুটি ও চরম আতংক দেয়া দেয়। তাৎক্ষনিক বাঘা থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন পেছন দিকে ব্যাক দিয়ে রাজশাহীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়।
খুলনা থেকে কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে সকাল সাড়ে ৬টায়। আড়ানী স্টেশন পাচ করে ১১টা ৪৪ মিনিটে। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের মুখোমুখি হয় ১২টা ২০ মিনিটে। পরে ১২টা ৫৩ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। এ দিকে সিক্র ডাউন মেইল ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঈশ্বর্দীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে সকাল সাড়ে ১০টায়। আড়ানী স্টেশনে এসে পৌছে ১২টা ৪ মিনিটে। ছাড়ে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে।
আড়ানী স্টেশন মাস্টার একরামুল হক বলেন, পয়েন্টম্যানের ভুলের কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ৩৩ মিনিট পর ট্রেনটি আড়ানী ছেড়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আড়ানী স্টেশনের পয়েন্টম্যান রওশন আলী বলেন, আমি কিছুদিন আগে স্টোক করে প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে পড়েছি। দূত চলাচল করতে সমস্যা হয়। আমি পয়েন্ট ঠিক করতে যাওয়ার আগেই কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন আড়ানী স্টেশনে ঢুকে পড়ে। তবে চালকের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মুখোমুখি হওয়ার আগে ট্রেন থামিয়ে দেন।
কপোতাক্ষ আন্ত:নগর ট্রেনের চালক রুহুল আমিন সিরাজ বলেন, আড়ানী স্টেশনে কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনের স্টোপেজ নেই। নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন চলছিল। আড়ানী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকের পয়েন্ট পার হওয়ার পর দেখি, যে লাইন দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে, সেই লাইনে আরেকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। আমি কৌশলে ট্রেনটির মুখোমুখি হওয়ার আগে থামিয়ে দিই।
সিক্স ডাউন ট্রেনের চালক রাজু আহম্মেদ বলেন, যে লাইনে আমার ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল, সেই লাইন দিয়ে আরেকটি ট্রেন আসা দেখে যাত্রীরা ছুটোছুটি শুরু করে। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়।
কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনের পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, এ ট্রেনের স্টোপেজ নেই আড়ানীতে। হঠাৎ আড়ানী স্টেশনে এছে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন থেকে নেমে এসে দেখি, যে লাইন দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল, সেই লাইনে আরেকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা দেখে চালক ট্রেনটি কৌশলে থামিয়ে দেন। প্রায় ৩৩ মিনিট পর ট্রেনটি পেছনের দিকে ব্যাক করে ২ নম্বর লাইনে দিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিক আড়ানী স্টেশনে গিয়ে দেখি যাত্রীদের মধ্যে আতংক ও উত্তপ্ত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়
Leave a Comment