ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকায় বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে বাস (কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট, ঢাকা থেকে নেমে সারা শরীরে স্প্রে করছিলেন এক ব্যক্তি। এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে জানতে চাইলেই বললেন, বাসে আরেকজনের গা ঘেঁষে বসতে হয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলার মো. তাজ নূর নামে ওই ব্যক্তি জানালেন, কুমিল্লা থেকে দ্বিগুণ ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে সুলতানপুর এসে নামেন। কথা ছিল প্রতি দুই সিটে একজন করে যাত্রী নেওয়া হবে। কিন্তু বাস পরিপূর্ণ করেই যাত্রী আনা হয়। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি।
চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার মো. ফয়জুল্লাহ। আখাউড়ার আজমপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে নামা ওই ব্যক্তি জানালেন, মৌলভীবাজারের জুড়ি অভিমুখী ওই বাসে উঠেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে। জনপ্রতি প্রায় দ্বিগুণ ৬০০ টাকা ভাড়ায় উঠলেও বাসে স্বাস্থ্যবিধির বলাই ছিল না। সব সিটেই পাশাপাশি করে লোক বসানো হয়।
সরজমিনে ঘুরে বাসে যাত্রী পরিবহনের নৈরাজ্য লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা ছাড়াও জেলার আভ্যন্তরীণ বাসগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি দুই সিটে এক যাত্রী বসানোর কথা বলে দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হলেও এসবে যেন থোরাই কেয়ার। যাত্রীরা প্রতিবাদ করে এর কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।
সরকারিভাবে আমাদেরকে ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রীর পরিবহনের বিষয়ে যে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে বাস চলাচল করছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটে যাচ্ছে। বিশেষ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো কম ভাড়ায় আগের মতো বেশি যাত্রী পরিবহন করছে বলে অনেকে বাসে চড়তে চাচ্ছে না। যে কারণে ঈদকে সামনে রেখে কেউ কেউ হয়তো কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি যাত্রী পরিবহন করছে।
বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিশ্বরোড মোড়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী, সোহাগ, তিশা, রয়েল কোচ ইকোনো, উত্তরা, তিতাসসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাস যাত্রাবিরতি দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কাউন্টার থেকে ঢাকার যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া রাখা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোক উঠানো হচ্ছে কি-না যাত্রীদের এমন প্রশ্নে বলে দেওয়া হচ্ছে, এসব কোথাও নাই!
সামনে থেকে প্রায় শেষের সারি পর্যন্ত যাত্রী প্রায় পরিপূর্ণ। দুইজনের সিটে দুইজন করেই বসানো আছে। যাত্রীদের অনেকেই এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেও প্রতিবাদ করা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।
টিকিট কাউন্টারে গিয়ে তদারকিতে থাকা নিজেকে মাফিজুল পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঈদের সময় ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রী থাকলেও ফিরত হয় খালি। যে কারণে সব খরচ মিটিয়ে লোকসান হয়। সরকার যে নিয়ম বেধে দিয়েছে তাতে বাস চলানো সম্ভব না। অনেক যাত্রীই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চায় না। আগে দুই মাস বন্ধ রাখছি। সরকার চাইলে আবারো বন্ধ করে দেব। সরকার সড়কে বাস নামিয়ে দিক।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে। এ বিষয়ে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment