বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের অনির্ধারিত বক্তব্যে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় সংসদে। সরকারদলীয় সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন।
গত ২৩ জুন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। ওই সময় অধিবেশন কক্ষে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। কিন্তু বক্তব্যের একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সর্বশেষ তিনি সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
এ সময় হারুনুর রশীদ কয়েকদিন আগে স্পিকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার বক্তব্য নিয়ে কথা বলা শুরু করলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে থামিয়ে দিলে বলেন, সংসদের অধিবেশন কক্ষ থেকে স্পিকারকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করার সুযোগ নেই
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে হারুনুর রশীদ সেই প্রসঙ্গে কথা শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্পিকার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, মাননীয় স্পিকার এই চেয়ারে বসে কী বলেছেন, সেটার ব্যাপারে হাউজে দাঁড়িয়ে কোনও ধরনের উক্তি এখানে করা যাবে না।
কার্যপ্রণালী বিধিতে সংসদ সদস্য ও স্পিকারের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপনার (স্পিকারের) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এখানে আপনার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার কোনো সদস্যের নেই। আপনি ফ্লোর নিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলে তা আপনি দিতে পারেন। আমি আপনাকে সেটার ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাবো।
এই সংসদ বিব্রত করার জন্য নয়; বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, বিগত সংসদগুলোতে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলেও দশম ও একাদশ সংসদের বিরোধী দলের চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। তিনি বলেন, গত ২৩ জুন বাজেটের ওপর আলোচনায় আমি ‘ইন্নালিল্লাহি’ বলে শুরু করেছিলাম। তখন আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে বলেছিলাম, এর ব্যাখ্যা আমি পরে দেবো।
অতীতের হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ সাবেক কয়েকজন স্পিকারের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি আমাদের অভিভাবক। অতীতে অনেকে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনিও এখন চালাচ্ছেন। আমি এ ধরনের নজির দেখিনি, ওইখান থেকে (স্পিকারের চেয়ার) কখনও কোনও স্পিকার বলেছেন ‘আমি উনার জবাব দেওয়ার জন্য একাই যথেষ্ট।’
হারুনুর রশীদ আরো বলেন, আমরা সংসদে মাননীয় স্পিকারের মাধ্যম দিয়েই কথা বলি। আমি বক্তব্যের উত্তর মাননীয় সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কিন্তু ওই জায়গা থেকে যে উক্তি করা হয়েছে, তা আমার সংসদের অভিজ্ঞতায় শুনিনি। কার্যপ্রণালী বিধির কোথাও এটি খুঁজে পাইনি।
বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, আমি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দিলে উনি ওইখান থেকে কথা বললেন, ‘এটি বলা যাবে না। এটি বলতে পারবেন না।’ এটা গ্রহণযোগ্য নয়, বলে তিনি দাবি করেন। এ সময় তাঁকে থামিয়ে দেন স্পিকার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment