ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এবার এক মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগলী)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নবীনগর থানায় মামলা হয়েছে।
সিলেট থেকে আগত এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী (২৫) গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার বড়িকান্দিতে অবস্থিত গণি শাহ মাজারে বসবাস করত।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই পাগলী মাজারের দক্ষিণ পাশের একটি দুচালা ঘরে থাকতেন।
ঘটনার দিন রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে পার্শ্ববর্তী থোল্লাকান্দি গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে আক্কেল মিয়া (২২) ওই পাগলীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে সকাল হতেই স্থানীয় একটি মহল ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পাঁয়তারা শুরু করে।
এসময় পাগলীর চিৎকারে মাজারের নৈশপ্রহরী এসে আক্কেল মিয়া ও ধর্ষণে সহযোগিতার করার অভিযোগে আবদুল হালিম (৬৫)কে আটক করে। কিন্তু পরে রাতেই ধৃতরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মামুনূর রশীদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্কেল ও হালিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে এ ঘটনায় গণি শাহ মাজারের রীনা বেগম নামের এক কর্মচারী বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।