দুই সন্তানের জননী রানু বেগম। নিজের ১০ বছরের শিশু ছেলে রাজুর (১০) হাত-পা খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে ব্লেড দিয়ে পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা বরাবর ৬-৭ ইঞ্চি কেটে দেন। কাটার পরও ক্ষান্ত হননি পাষণ্ড মা, সেই কাটা স্থানে লবণ ও শুকনা মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেন!
শিশু ছেলে রাজু চিৎকার করে বলেছে, ‘মা তুমি আর লবণ-মরিচ দিওনা, কাটা স্থানে রক্ত ঝড়ছে।’ রাজুর এমন চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তার চাচী মফেজা বেগম দৌঁড়ে এসে দেখেন রাজুর হাত-পা বাঁধা। সে চিৎকার করছে, আর তার মা রানু বেগমের হাতে লবণ ও মরিচের গুঁড়া।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা নীলফামারী সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরী সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি খলিলুর রহমানের শিশু ছেলে রাজু (১০)। সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত রানু বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ছেলে বাড়িতে আসায় দেরি হওয়ায় আমি মনের রাগে ছেলেকে ভয় দেখানোর জন্য হাত-পা খাটের সঙ্গে বাঁধি ও কাটা স্থানে লবণ-মরিচ দেই। আমার এটি ভুল হয়েছে, আমি আর কোনো দিন এমন করব না।’
রাজুর বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি বাজারে ছিলাম, খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগম আমার ছেলের হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে পায়ের গোস্ত কেটে লবণ-মরিচ লাগিয়ে দিয়েছে। আমার শিশু ছেলের ছটফট আর চিৎকারে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। কাটা স্থানে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রীর অমানবিক কাণ্ড আমি সহ্য করতে না পেরে আমি রাতেই তাকে তালাক দেই।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আমি অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’