স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো।
ভারত সরকার সবসময় আমাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক অবস্খানে রয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় অটুট থাকবে।
বুধবার ঢাকার দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামে মহত্মা গান্ধী আশ্রম পরিদর্শনে এসে তাঁরা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তাঁর প্রতিনিধি দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহত্মা গান্ধীর নামে গান্ধী-মুজিব ইনিস্টিটিউশন অব টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান করার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে। সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিদর্শনে এসে ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, মহাত্মা গান্ধী দুই দেশকে একই সুতোয় বেঁধে রাখতেন। সেই সম্পর্কটা আমরাও রাখতে চাই। আমি দোহারে এই গান্ধী আশ্রমের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেবের কাছে শুনেছি। তাই এখানে আশার অনেক ইচ্ছে ছিল।
তিনি আরো বলেন, মহাত্মা গান্ধী দেশী পণ্য উৎপাদনের মন্ত্রে ভারতবাসীকে উজ্জীবিত করতে চরকায় নিজে সুতা তৈরি করতেন এবং দেশবাসীকে উৎসাহ যোগাতেন। আপনারও দেশী পণ্যের প্রতি জোর দেবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনারকলি পুতুলসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শেষে গান্ধী আশ্রম প্রাঙ্গণে পৃথকভাবে দুটি গাছের চারা রোপণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার।
এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দোহার উপজেলার পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারের হাতে ফুল ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন ঢাকা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও দোহার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক অমিতাভ পাল অপু।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ড. প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের আমন্ত্রণে মহাত্মা গান্ধী দোহারের এই আশ্রমে দুইবার এসেছিলেন।
প্রথম আসেন ১৯৩৭ সালে। তখন প্রফুল্ল ঘোষের দোহারের বাড়িতে সাতদিন অবস্থান করেছিলেন। এরপর ১৯৪৩ সালে এসে এ স্থানটি অন্তত দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন।