সরকারি প্রণোদনা পেতে বা অসৎ উদ্দেশ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারের প্রণোদনা নিতে জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়েছে, এ রকম একটা খবর শোনা যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজেন্ট এবং জেকেজি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে থাকেন অসৎ উদ্দেশ্যে, তদন্ত সাপেক্ষে তা বেরিয়ে আসলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কেউ এ ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে প্রণোদনা পাবেন, সরকার সেটি কখনো করবে না। যদি কেউ এটা করে থাকে, তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনে করি, তিনি (তারেক রহমান) যদি রাজনীতিবিদ হন তার উচিত ছিল আইন ও আদালতকে মোকাবিলা করা এবং আদালতের হাতে আত্মসমর্পণ করা। যিনি সত্যিকারের রাজনীতিবিদ তিনি আইন আদালতকে কখনো ভয় পান না। তারা সত্যিকারের রাজনীতিবিদ নন বিধায় মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন। তারেক জিয়া আর কোনদিন রাজনীতি করবেন না, তিনি মুসলেকা দিয়ে দেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন এবং আইন ও আদালতকে ভয় পান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারেক জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। তার একটি মামলায় যাবজ্জীবন ও আরেকটি মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। যেহেতু তাদের সাথে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই। তাই চাইলেই তাকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
এক-এগারোর কুশীলবদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এক-এগারোর কুশীলব তাদের অনেকের প্রাকৃতিক বিচার হয়ে গেছে। প্রকৃতি তাদের বিচার করেছে। এক-এগারোর কুশীলবরা সুশীল ছদ্মনামে নানা কথা বলেন। তাদের গতিবিধির ওপর সরকারের নজর আছে।