জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা সহজিকরণে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তাই ভবিষ্যতে ভূমিসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির পরিসর আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা রাজস্ব সম্মেলন-২০২০ ও সেবা সহজীকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান সংগ্রহ করতে ও ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এখন সেবা প্রত্যাশীরা সহজেই এ সকল সেবা পাচ্ছেন।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যেই সরকারের পক্ষে এ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে ভূমিসেবা সহজিকরণে প্রযুক্তির বিকল্প নেই।
ভূমি সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণ যেন ভূমি অফিসে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
এ ছাড়া ভূমি সংক্রান্ত বিরোধগুলো দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করতে হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভূমি সেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভূমি জরিপসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ডিজিটাইজেশন করা হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পিপি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, জিপি অ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।