নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার দায় কেউ এড়াতে পারবেনা। দুঃখজনকে এই ঘটনার অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ভবিষ্যতে যেন এরূপ ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে সকলকে তৎপর থাকতে হবে।
ইতিমধ্যে তিতাসের ৮ জনকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ডিপিডিসির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আরো তদন্ত চলছে। অবৈধ সংযোগ বিষয়ে ডিপিডিসি সংশ্লিষ্টদের নামে মামলাও করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি গভিরভাবে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রদানের কাজ সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলছে। চলমান এই কাজে কোন প্রকার গাফেলতি বা দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। তিতাসের প্রতিবেদন আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন তিতাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুল ওহাব।
এই প্রতিবেদনে- ১. সংঘটিত বিস্ফোরণটি তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস লাইনের লিকেজ জনিত কারণে হয়েছে কি না তা নিরূপণনসহ বিস্ফোরণ/দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন পূর্বক মতামত ও সুপারিশ প্রদান করা হয়।
২. মসজিদ কমিটির পক্ষ হতে গ্যাস লিকেজ সংক্রান্ত মৌখিক অভিযোগ প্রদানের সত্যতা যাচাইসহ এতদবিষয়ে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চিহ্নিত ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়।
সতের পাতার এই প্রতিবেদনে কমিটি তাদের তদন্তে এককভাবে কাউকে দায়ী না করলেও, সমষ্টিগতভাবে অনেকেই এর দায় এড়াতে পারেনা।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুজন গ্রাহকের রাইজার স্থানান্তর, গ্যাস লাইনের নিকট ও নিচে মসজিদ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনহীন মসজিদের ভিত্তি স্থাপনে পাইপের উপরিভাগে Mechanical Damage by External Thurst হওয়া, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া, বদ্ধ মসজিদের ভিতর গ্যাসের গন্ধ থাকার পরও সমজিদ কমিটি তাতে গুরুত্ব না দেয়া এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, প্রেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্ ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক পরিচালক আলী মো. আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।