জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নম্বর পেয়েছে। আমরা পাঁচ মাস ধরে দেশের কভিড রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখন মৃত্যুর হার পৃথিবীর মধ্যে ঘনবসতি যেসব দেশ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম। মাত্র ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
করোনাকালে মাঠে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই ছিল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেকে সাহায্য করেছে। আমরা ভালো করেছি কি না সেটা সাংবাদিক ভাইয়েরা ভালো বুঝতে পারবেন। পরীক্ষায় কত নম্বর পেলেন এটা ডিপেন্ড করে পরীক্ষা কেমন দিয়েছেন তার ওপর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নম্বর পেয়েছে। নম্বরটা কী? আমাদের মৃত্যুহার দেড় পারসেন্ট। যেটা আমেরিকায় ৬ পার্সেন্ট, ইউরোপে ১০ পার্সেন্ট, পৃথিবীরটা হলো ৬ পার্সেন্ট।
করোনায় এখন আমাদের মৃত্যুহার পৃথিবীর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ যত দেশ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম। আরো ভালো সংবাদ হলো, রোগীর সংখ্যা বিশেষ করে ঢাকা শহরে অর্ধেকে নেমে গেছে। ঢাকায় তিন হাজারেরও বেশি বেড খালি আছে।
চার হাজারের অধিক ডাক্তার টেলিমেডিসিন দিচ্ছে। মেডিসিনের যেটা প্রয়োগ, সেটাও খুব ভালো হচ্ছে। যে কারণে ঘরে থেকেই লোকে সেবা পেয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে যারা খুবই মুমূর্ষু রোগী বা ক্রিটিক্যাল, তারা আসছে বলেও জানান তিনি।
রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সবাই চায় যে রোগীর সংখ্যা কমে যাক, অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল রোগী আর নাই। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন নাই? বিকজ স্বাস্থ্য-চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। ঘরে থেকে মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। অর্থাৎ টেলিমেডিসিন আমরা যেটা দিচ্ছি সেটা খুব ভালো কাজ করছে।
বুধবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।