করোনাকালের এই দুঃসময়ে এখনই সরাসরি মাঠের রাজনীতি শুরু করতে চায় না আওয়ামী লীগ। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তৃণমূলে যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। দলের সাংগঠনিক নেতারা ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্স, অনলাইনে আলোচনা সভা, ওয়েবিনারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রম চলছে। শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচিও পালিত হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
এ কারণে আটকে গেছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের অর্ধেক সাংগঠনিক জেলা শাখার সম্মেলন। আওয়ামী লীগের মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৭৮। এছাড়া আটকে আছে সম্মেলন হওয়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। এসব সংগঠনের সম্মেলন সাড়ে সাত মাস পার হলেও একটিরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। প্রাণঘাতী করোনার এই সংকট না কাটা পর্যন্ত সেই সম্ভাবনাও দেখছেন না সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
গত বছরের ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হয়। যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস হয় ২৩ নভেম্বর, ২৯ নভেম্বর মত্স্যজীবী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যথাক্রমে ১১ ও ১২ নভেম্বর সম্মেলন হয়। এগুলোর মধ্যে শ্রমিক লীগ ভ্রাতৃপ্রতিম এবং বাকিগুলো সহযোগী সংগঠন। তবে এসব সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কেউ বলেন, তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছেন, আবার কেউ বলছেন, তারা চূড়ান্ত কমিটি প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জমা দিতে পারেননি। জানা গেছে, যুবলীগ বাদে প্রতিটি সংগঠন কমিটির খসড়া করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছেন। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু এবং মত্স্যজীবী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, করোনার কারণে জনসমাগম হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করতে হচ্ছে। সেই কারণে সাংগঠনিক জেলা শাখার নতুন সম্মেলন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব এ নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, জনগণের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোই রাজনৈতিক দলগুলোর মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। জনগণের দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামনেই জাতীয় শোকের মাস আগস্ট। ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে কীভাবে শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করা যায় তা নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে দলটি। মোবাইল ও এসএমএস এবং মেইল ও জুমসহ নানা মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment