মুন্সীগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শিহাবুল আরিফ এর নেতৃত্বে অদ্য ৮/১/২০২০ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকা হতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলাধীন পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর, ডিঙ্গাভাঙ্গা, দূর্গাবাড়ি এলাকায় জেলা মৎস্য অফিস ও কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোবাইল কোর্ট টিম তাছবির ফিশিং নেট, মাস্টার ফিশিং নেটসহ মোট ৮ টি কারখানা হতে এবং রুবিয়া বেগমের বাড়ী হতে আনুমানিক ৪ কোটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৮০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
উক্ত মোবাইল কোর্টে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় ৫ এর ২ এর ক ও খ ধারায় ৪টি মামলায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ রতন মিয়া (৬০), জামাল (২৫), হারুন (৫৫), সুবর্না (৩৫), আরিফ (১৮), সোহাগ(১৯), সুমন (২১), সজীব (২০), নাছিম(১৮), রাকিব (২১), রহিম (২১), শান্ত (১৯), শামিম (২০), রানা (২৩), হাসান (২১), মনির (১৯), সাইদুল (২১), শিপন (২২), রাতুল (২০), রুবিয়া বেগম (৬০), কামরুল হাসান (৩৫)। এদের প্রথম তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে এবং অবশিষ্ট ১৮ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কোস্ট গার্ডের নেতৃত্বে ছিলেন লে. কমান্ডার এম সাজ্জাদ হোসেন এবং জেলা মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে ছিলেন জনাব সুনীল মন্ডল, সিনিয়র সহকারি পরিচালক ও জনাব আসলাম হোসেন শেখ, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতি:দা:), মুন্সীগঞ্জ সদর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মোঃ আলমগীর, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগ এবং জনাব জিল্লুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মুন্সীগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সামিউল মাসুদ এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত কারেন্ট জালসমূহ সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকায় মুক্তারপুর বাঘবাড়ী কবরস্থান সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর দক্ষিন তীরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
উক্ত অভিযানটি সফলতার সাথে পরিচালনার ফলে অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদনকারীগণ ভবিষ্যতে সর্তক হবেন এবং এরূপ অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদনে গেলে উৎপাদনকারীদের বিরূদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।