জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে রবিবার রাতে।
ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম প্রধান অতিথি হিসাবে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের এতো ব্যাপকতা ছিল যে এদেশের মানুষ তার প্রভাব থেকে দূরে থাকতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস খুব ভালোভাবে জানতে হবে। জাতির পিতার আদর্শগুলো অনুসরণ করলেই আমরা একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আদর্শ বুকে ধারণ করেই এ দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা এ জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বঙ্গবন্ধু না থাকলে স্বাধীনতা অর্জিত হতো না। তার কারণেই আমরা আজ একটি সম্মানের জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।
মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর জীবনী আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানানোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই কর্মসূচি নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস আরো বিশদভাবে জানার সুযোগ করে দেবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সাহীদুজ্জামান খোকন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন, পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে মুজিবচর্চার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ১০০ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন প্রথিতযশা ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করবেন।