১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন। জাতি তাঁর ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারবে না।
জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও পরম দৃঢ়তায় পিতার অসমাপ্ত কাজ ও আদর্শ বাস্তবায়ন করে বিশ্বের দরবারে দেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
কভিড-১৯ এর সংক্রমণকালেও মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করে তিনি বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে একযোগে কাজ করলে আগামী বছরেই বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্ভাবক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষাসহ সোনার বাংলায় রূপান্তরের জন্য সকল কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিলেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এসব কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ অন্যরা।
বঙ্গবন্ধুই প্রথম সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ শুরু করেন।
জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলার বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করলেই তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন হাবিবুন নাহার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শোক হোক শক্তি শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।