যশোর থেকে পালিয়ে আসা করোনা রোগী কেশবপুর উপজেলা শহরের মহাকবি মাইকেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ কারণে ঐ ক্লিনিকটি লকডাউন করাসহ ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদেরকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ওই রোগী করোনা আক্রান্তের খবর গোপন করে ঐ ক্লিনিকে ভর্তি হয়।
জানা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে উপজেলার বাউশলা গ্রামের এক মেয়ে (১৬) যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে করোনা পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। রোববার এ খবর জানতে পেরে সে পালিয়ে কেশবপুর শহরের মহাকবি মাইকেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। করোনায় আক্রান্ত ওই রোগীকে প্রশাসনের লোকজন খুঁজে ফিরছিলো।
গোপন সংবাদ পেয়ে রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই ক্লিনিকে গিয়ে করোনা রোগীকে উদ্ধার করেন । এবং ক্লিনিকে লাল পতাকা টাঙিয়ে লকডাউন করে দেন। এছাড়া ক্লিনিকে ভর্তি সকল রোগীদের বাড়িতে পাঠিয়ে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
ক্লিনিক মালিক মাহামুদুল হাসান টুলু দাবি করেছেন, ঐ রোগী করোনায় আক্রান্তের খবর গোপন করে রোববার (১৭ মে) ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন এসে ঐ রোগীকে নিয়ে যায় এবং ক্লিনিক লকডাউন ঘোষণা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ আলমগীর হোসেন বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই রোগী যশোর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসে কেশবপুরের ওই ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিল । তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূসরাত জাহান বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ওই রোগী যশোর থেকে পালিয়ে কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়। তাকে উদ্ধার করে ওই ক্লিনিক লকডাউন করা হয়েছে।