জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উদ্যোগে ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর কক্ষ থেকে পিরোজপুরে আয়োজিত আলোচনাসভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলেও শেখ হাসিনা সরকার তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করেছেন।
বাংলাদেশে সকল ধর্মাবলম্বীরা সাংবিধানিকভাবে সমঅধিকার ভোগ করছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এ অধিকার ভোগ করতে হবে। সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদয়িক রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।
১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেন।
সুরঞ্জিত দত্ত লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পের পরিচালক ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার দাস, উপ-প্রকল্প পরিচালক ডা. সৌরেন্দ্র নাথ সাহা ও কাকলী রাণী মজুমদার, সহকারী প্রকল্প পরিচালক প্রিয়াংকা শিকদার, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল চন্দ্র মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু প্রমুখ বক্তব্য দেন।