ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার প্রজাবতখিলা গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করেছে পাষণ্ড স্বামী।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু কাকলি আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার তারাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের হরিয়া কান্দা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের কন্যা কাকলি বেগম (২৫) এর এক বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়ি পাশের প্রজাবতি গ্রামে। সে হক মিয়ার পুত্র শাহ পরান (২৫)।
বিয়ের ২/৩ মাস সংসার চলার পর কাকলি আক্তারের গর্ভে আসে সন্তান। কাকলি আক্তার সাত মাসের গর্ভবতী। সন্তান গর্ভে আসার পর যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন।
একপর্যায়ে পাষণ্ড স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কাকলি আক্তারকে ২৯ জানুয়ারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে এসে শুরু হয় নির্যাতন।
কাকলি আক্তার জানান, গর্ভের সন্তান নষ্ট না করা ও এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন।
যৌতুক আনতে রাজি না হওয়া মারধরের পর কাকলি আক্তারের মাথা ন্যাড়া করে বাড়িতে আটক করে রাখে।
তিন দিন পর সুযোগ পেয়ে কাকলি আক্তার পালিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। সম্পুর্ণ ঘটনা পরিবারকে জানান নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
কাকলি আক্তারে মা জুলেখা বেগম জানান, আমার মেয়ে নির্যাতনের ঘটনা আমাদের বলে। আমি মেয়েসহ থানায় অভিযোগ করি। এ নির্মম নির্যাতনের বিচার চাই।