কাপড়ের রং ও সুগন্ধি দিয়ে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব। আজ রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আদাবর এলাকায় নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড রাব ও অ্যান্টিসেফটিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
কারখানাটিতে বিভিন্ন নামের ব্র্যান্ডের লেভেল দিয়ে অ্যান্টিসেফটিক বানানো হতো, সরবরাহ করা হতো গ্রাহককে। শুধু অ্যান্টিসেফটিক নয়, পানির সঙ্গে রং আর সুগন্ধি মিশিয়ে বানানো হতো হ্যান্ডস্যানিটাইজার। এ ছাড়া ডোর ক্লিনার, গ্লাস ক্লিনার এবং নানা নামে হ্যান্ড রাবও বিক্রি হতো। দুই মাস ধরে এমন ব্যবসা চলছিল।
এ সময় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেওয়া হয়। ওষুধ প্রশাসনের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান।
অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকার আদাবরের ২৮/১ নম্বরের একটি কারখানায় নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, রাব ও অ্যান্টিসেফটিক বানানোর অপরাধে আব্দুস সামি (৩৬) নামে একজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. হাফিজুর (২৮) নামের এক কারিগরকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনই রোজমেরী লিমিডেট নামে প্রতিষ্ঠানের কর্মী। এ ছাড়া মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় তাদের বিক্রয় কেন্দ্রে মো. রায়হান (৩৬) নামে একজনকে ৬ লাখ টাকা এবং এনআরবিচ নামে প্রতিষ্ঠানের জাফর আহমেদ (৩২) নামে একজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুই মাস ধরে এসব নকল পণ্য বাজারজাত করে আসছিল তারা। এসব পণ্য বাজারজাত করা হতো মহাখালী ডিওএইচএস-এর মতো অভিজাত এলাকায়। তারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আড়ালে এমন ব্যবসা করে আসছিল। অভিযানের সময় প্রাথমিকভাবে কাগজপত্র আছে বললেও পরে আর কিছুই দেখাতে পারেনি প্রতারক চক্র।
নকল স্যানিটাইজারের বিরুদ্ধে আমাদের রেগুলার অভিযান চলছে। এখান থেকে প্রচুর নকল অ্যান্টিসেফটিক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড রাব জব্দ করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়া মান নিয়ন্ত্রণ না করে, কোন ধরনের জীবাণুনাশক ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিল। আবার মাত্র ৫০ মিলিগ্রামের এসব নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রিও করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। করোনায় মানহীন এসব ব্যবহারের কারণে করোনার ঝুঁকি আরো বাড়ছে।’
এ বিষয়ে অভিযানে অংশ নেওয়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আলম বলেন, ‘বিশেষ করে এই নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও রাবগুলো মানুষ ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্কিনের বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’