আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন রাজপথের নির্ভীক নেতা। রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়ে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। রাজপথে পুলিশের নির্যাতন সয়েছেন কিন্তু আন্দোলন থেকে দূরে সরে যাননি। মোহাম্মদ নাসিমদের মৃত্যু নেই। এভাবেই প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করলেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বুধবার রাতে অনলাইনে ১৪ দল আয়োজিত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম নির্ভীক এক নেতা ছিলেন। তিনি রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। অকুতোভয় সহযোদ্ধার প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কখনো রাজপথ ছেড়ে যাননি। তার পিতা যেমন বঙ্গবন্ধুর সহযোগী ছিলেন তিনিও তেমনি শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি তার অকৃত্রিম আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। সেই জায়গা থেকেই তিনি ১৪ দলকে একটি পরিবারে পরিণত করেছিলেন। আমরা একসঙ্গে রাজপথে মার খেয়েছি, আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী হারালাম।’
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রাম, আগুন সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম এ ধরনের বহু সংগ্রামে উনি রাজপথে নির্ভীক সৈনিকের মতো কাজ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।