নিজের নির্বাচনী এলাকা ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে রাতের আঁধারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে কাশীপুর, বক্তাবলী, কুতুবপুর, এনায়েতনগর ও ফতুল্লা ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন শামীম ওসমানের কর্মীরা। এদিকে চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডেও এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শামীম ওসমান।
জানা যায়, এক কোটি টাকার অনুদানের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এমপি শামীম ওসমানের নিজ অর্থায়নে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ফতুল্লা ইউনিয়ন, কাশীপুর ইউনিয়ন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন, বক্তাবলী ইউনিয়ন ও কুতুবপুর ইউনিয়নের মোট ৪৫ ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসব সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, আটা, ডাল, তেল, লবণ ও চিনি।
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান জানান, একটানা লকডাউনের কারণে শুধু নিম্ন আয়ের মজুর বা হতদরিদ্ররাই নন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তারা না পারছেন কাউকে বলতে না পারছেন চাইতে। আমার কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতের আঁধারে ফতুল্লা থানাধীন ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে এই খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছেন। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে না থাকে- আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই ব্যবস্থা করছি।
শামীম ওসমান বলেন, বিশ্বনবী রাসুল (সা.) বলেছেন, নিজে খাওয়ার আগে তোমার আশপাশের ক্ষুধার্ত মানুষের খোঁজ নাও। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলব, সব কিছু সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সমাজের মানুষ হিসেবে আপনারও কিছু দায়বদ্ধতা আছে, ধর্মীয়ভাবে দায়বদ্ধতা আছে। সংকটে পতিত এসব মানুষদের সাহায্য করে আপনি তাদের সাহায্য করছেন না, বরং নিজেকেই সাহায্য করছেন। কারণ, এসব মানুষ যখন আপনার উপহার পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসবেন আর মন থেকে খুশি হবেন, তখন সেটাই হবে আপনার জন্য বড় দোয়া। বড় পাওয়া। তাই আপনারা এই দুঃসময়ে একত্রিত হয়ে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার এটাই মোক্ষম সময়।