এমদাদ খান, খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ির রামগড়ের স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের রিপোর্টে ৪৩ বিজিবি রামগড় জোনের আন্তরিকতায় মানবিকতা, অক্লান্ত পরিশ্রম, এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগীতায় অবশেষে নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে যাচ্ছে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড ফেনী নদীতে অবস্থানরত সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী।
৪৩ বিজিবি, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবার ৪ ঠা মে বিকাল ৪ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রেড ক্রিসেন্ট এর জেলা সভাপতি পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরীর উপস্থিতিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য ঢাকা থেকে আসা রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের বহনকারি গাড়িতে তুলে নেন।
এসময় বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জি এইচ এম সেলিম পিএসসি জি, ৪৩ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তারিকুল হাকিম পি এস সি, খাগড়াছড়ি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার,রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামসুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) মনির হোসেন।দেশব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশংকায় মহিলাটির করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার রিপোর্ট ৩ এপ্রিল নেগেটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়।
গত ২ রা এপ্রিল থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ফেনী নদীর মাঝখানে একমাস যাবত অবস্থান করা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর পরিচয় অবশেষে শনাক্ত হয়। তার নাম শাহানাজ পারভিন (৩৫) কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দই খাওয়ারচর গ্রামের হাতেম আলী শেখ ও ওমেলা খাতুনের মেয়ে। ভারসাম্যহীন অবস্থায় প্রায় দুই বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। বিজিবি-আইসিআরসি ও বিডিআরসিএস যৌথভাবে কাজ করে নারীর নাম পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, বিজিবির আন্তরিকতায় গত দুই বছর ধরে নিখোঁজ থাকা একজন নারীকে আমরা আইসিআরসির রেস্টোরিং ফ্যামিলি লিংকস (আরএফএল) এর মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করছি। এ প্রক্রিয়ায যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে বিজিবি,রেডক্রিসেন্ট এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।