গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে মানুষের ভোট এবং ম্যান্ডেট ছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। ফলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলেই কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই সরকার তাকে সহ্য করতে পারছে না। জনরোষে ভিত হয়ে সরকার রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছে।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, করোনাকালে সরকার লোকসানের অজুহাতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটগুলো বন্ধ করে শ্রমিকদের কর্মহীন করার নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে। এই লোকসানের দায় শ্রমিকদের নয়, বর্তমান ও অতীতের সরকারের আমলাদের- যারা দুর্নীতি-লুটপাট করে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি-ভুলনীতির কারণে লোকসানের দায় শ্রমিকদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে চাপিয়ে দেওয়ার এই খেলা বন্ধ করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল বন্ধ এবং খুলনার পাটকল শ্রমিক আন্দোলনের নেতা নূরুল ইসলাম ও ওলিয়ার রহমানকে মধ্যরাতে সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় নেতা তাসলিমা আখতার, বাচ্চু ভূইয়া, মনিরুদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।