বগুড়ায় শুক্রবার সকাল ০৭টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজিব প্রসাদ জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাজারে সারের ব্য করেন। বগুড়া শহরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, রাজীব প্রসাদ রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশে সকালে শহরের জ্বলেশ্বরীতলা এলাকার বাসা থেকে বের হন। তিনি রিকশাযোগে শহরের সাতমাথায় যান রাজশাহীর বাসে ওঠার জন্য। তিনটি হাত ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় উঠেন। একটি ব্যাগে ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। তিনি ভুলে রিকশাতেই ফেলে যান টাকাভর্তি ব্যাগ। এরপর তিনি বাসে উঠে বিষয়টি টের পেয়ে সাতমাথায় রিকশাচালককে খুঁজেন। কিন্তু না পেয়ে সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। এদিকে রিকশাচালক লাল মিয়া তার রিকশায় ব্যাগ দেখে ব্যাগের মালিক রিকশার ওই যাত্রীকে খুঁজতে থাকেন। রিকশাচালক ব্যাগের মালিককে খুঁজে না পেয়ে শহরের খান্দারের ভাড়া বাসায় ব্যাগ রেখে এসে পুনরায় খুঁজতে থাকেন। এদিকে পুলিশও ওই রিকশাচালককে খুঁজতে মাঠে নামে। এক পর্যায়ে পুলিশ অন্যান্য রিকশাচালকের সহায়তায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে খান্দার এলাকায় গিয়ে লাল মিয়ার দেখা পান। লাল মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তিনি পুলিশকে বাড়িতে নিয়ে তাদের হাতে টাকা তুলে দেন। পরে লাল মিয়াকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেয়া হয় ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদকেও। সেখান থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উভয়কে নিয়ে গেলে সেখানে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা রাজীব প্রসাদের হাতে তার হারানো টাকা তুলে দেন। |
এমন সততার জন্য পুলিশ সুপার লাল মিয়াকে একটি নতুন রিকশা ও মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে এতে রাজীব প্রসাদ রাজি হন। রোববার রাজীব প্রসাদ রিকশা ও একটি মোবাইল ফোন পুলিশের মাধ্যমে উপহার দেবেন লাল মিয়াকে।