বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেছেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ বরগুনার শিশু আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ার দীর্ঘ পাঁচ মাস পর এ মামলার ৭৪তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
কারাগারে থাকা এ মামলার সাতজন আসামিকে সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালতে হাজির হয়েছেন এ মামলায় জামিনে থাকা অপর সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি।
এসময় আদালতে উপস্থিত শিশু আসামিরা তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শ্রবন এবং প্রত্যক্ষ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাশাপাশি আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম মুলতবি করে আগামীকাল সকাল ১০টায় আবার শুরু করার আদেশ প্রদান করেন আদালত।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে বন্ড বাহিনী। পরে ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এই দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির পাশাপাশি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক ১০ প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২৬ আগস্ট যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
অন্যদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামীকাল ২৪ আগস্ট ও পরদিন ২৫ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, ১৪ আসামির মধ্যে রিশান ফরাজীসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছেন আদালত।
অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
১ জানুয়ারি এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন শিশু আদালত।