ইলেকট্রিক চুরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ট্রেন চালক নাজমুল হোসেন, সহকারী ট্রেন চালক খাইরুল ইসলাম ও ট্রেন পরিচালক রোকনুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) রাতে খালি মালগাড়ি নিয়ে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীতে আসার পথে লোকমানপুর স্টেশন এলাকায় ইঞ্জিন থেকে তেল চুরি ও বিক্রি চেষ্টার সহযোগিতা করা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অপরাধে
সোমবার (২৭ এপ্রিল) পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস থেকে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, রোববার রাতে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের একটি খালি মালগাড়ি (নম্বর-আরএইচকে সিক্সডাউন,ইঞ্জিন নম্বর-৬৪০৩) রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীতে আসার পথে লোকমানপুর স্টেশন এলাকায় চারজন তেল চোর ট্রেন চালকদের সহযোগিতায় ইঞ্জিনে ওঠে।
এ সময় উক্ত ইঞ্জিনে আগ থেকে ওঁত পেতে থাকা কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আবুল হোসেন ও আব্দুল আওয়াল তেল চোরদের আাটক করার চেষ্টা করে।
কিন্তু দু’চালকসহ চার তেলচোররা মিলে নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়িত্বপালনে বাধার সৃষ্টি করে।
এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধবস্তাধবস্তি হয়। এতে উভয়ের জামাকাপড় ছিড়ে যায়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালকরা ট্রেনের গতি কমিয়ে দিলে চোররা ইঞ্জিন থেকে পালিয়ে যায় ।
এসময় চালকরা চোরদের তেল চুরির কাজে ব্যবহৃত পলিথিনের বস্তা জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।
পাকশী কন্ট্রোল অফিসের অনুমতি ছাড়াই ট্রেনটিকে এক পর্যায়ে রহস্যজনকভাবে ও সমপূর্ণ অনিয়ম করে আজিমনগর স্টেশনে থামিয়ে দেয়। প্রায় ৩/৪ মিনিট পরে ট্রেনটি চালিয়ে রাত ১০ টায় ঈশ্বরদী স্টেশন ইয়ার্ডে প্রবেশ করার পর ইঞ্জিন কেটে লোকোসেডে নিয়ে ইঞ্জিনের ট্যাংকির তেল পরিমাপ করে ২৬’শ লিটার তেল রিজার্ভ পাওয়া যায়।
ঘটনার পরই নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত চীফ কমান্ডেন্ট রেজোয়ান উর রহমান,পাকশীর ডিএমই (লোকো) আশিষ কুমার পাল ও অন্যান্য কর্মকর্তারা লোকোসেডে উপস্থিত হয়ে ইঞ্জিন পরিদর্শন করেন।
ট্রেন চালক নাজমুল হোসেন, সহকারী ট্রেন চালক খাইরুল ইসলাম ও ট্রেন পরিচালক রোকনুজ্জামানকে সোমবার পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।