উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে এখনো ৪০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।
আগুনে ক্যাম্পের ৮, ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বালুখালী ক্যাম্পের বেশ কিছু এনজিও অফিস এবং এপিবিএনের একটি ব্যারাকও ভস্মীভূত হয়েছে।
ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজে)-এর দেওয়া তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৫০০ রোহিঙ্গা এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪০০ জন। এ ছাড়া এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ হাজার পরিবারের ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং সরকারের যুগ্ন সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াতকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের শরনার্থী সেল কর্তৃক গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. খলিলুর রহমান খানকে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন- শরণার্থী বিষয়ক সেল এর যুগ্ন সচিব মো. হাসান সারওয়ার প্রধান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের একজন করে প্রতিনিধি, ১৪ এপিবিএন-এর প্রতিনিধি, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮-ডাব্লিউ এর ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপপরিচালক খলিলুর রহমান খান।
আগুনে অন্তত ৯ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় হারিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গোটা এলাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্ডন করে রেখেছে।
ফলে আমরা এখন পর্যন্ত আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত হওয়ার সঠিক চিত্র পাচ্ছি না। তবে আগুনে প্রাণহানির যথেষ্ট আশঙ্কাই রয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, গতকাল দুপুর ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনে ক্যাম্পের ৮, ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।