লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজের হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন জয়নাল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামির নাম রুস্তম আলী।
পাশাপাশি জয়নালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রুস্তমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করা হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় আর রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালত ২১ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজন ব্যক্তির সঙ্গে ভাঙা কাঁচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন।
টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ১২ দিন পর মাকসুদ ও আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।
২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মো. লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।
চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০০০ সালের দিকে এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমসহ সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।