‘নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে মোঃ আরমান শেখ ওরফে মান্নার(২৪) নামে গ্রাম্য শত্রুতার জের ধরে বিনা কারণে তাকে চোর সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সেখানকার প্রভাবশালী টাউট মাতব্বররা এরকমটাই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।’
‘ভুক্তভোগী বলেন আমি মোঃ আরমান শেখ ওরফে মান্না পিং চুন্নু শেখ সং কুমারডাঙ্গা ডাকঘর মকিমপুর থানা লোহাগড়া জেলা নড়াইল। আমি ডিপ টিউবয়েল স্থাপনের কাজ করি।গত ইং-২১-০৭-২০২০ তারিখের দুই দিন আগে আমি কাশিয়ানী থানার সন্ধ্যা বাজারে গৃহো ঘর বাড়িতে টিউবয়েল স্থাপনের কাজে যায়।গত ইং-২১-০৭-২০২০ তারিখ কুমারডাঙ্গা গ্রামে আমার আপন ফুফু আফরোজা বেগমের একটি লাল রং এর গাভীন বকন গরু চুরি হয়। উহার কয়েকদিন পর ইতনা গ্রামের নান্নু শরীফ এর অপর একটি গরু চুরি হয়। ঐ চুরির ঘটনার ৪ দির পর নড়াইল থানার শড়াতলা গ্রামে চুরাই গরু সহ ৪ জন চোর আটক হয়।’
‘তাদের মধ্যে একজনের নাম জাবের শেখ (২৪),পিং জাফর শেখ, সাং কুমারডাঙ্গা চরপাড়া থানা লোহাগড়া জেলা নড়াইল। উহাতে লোহাগড়া থানায় একটি মোকদ্দমা রুজু হয়। মোকদ্দমার এসআই অনিল মুখার্জি। এসআই অনিল মুখার্জি আসামি জাবের কে মো: আরমান শেখ ওরফে মান্নার নাম বলতে শিখিয়ে দেয়। আসামি জাবের মিথ্যা ভাবে মোকদ্দমা জড়াতে রাজি না হয় এসআই অনিল মুখার্জি তাকে বেদম মারপিট করে বলে অভিযোগ করে গরু চোর জাবের।’
‘এ ঘটনায় এলাকায় ছড়াইয়া গেলে কুমারডাঙ্গা গ্রামের টাউট মাতব্বরদের মধ্যে আবু তালেব শেখ (৫৫),পিতা মৃত আলতাব শেখ, দাউদ শেখ(৬৫), পিতা মৃত মোসলেম শেখ, ইমদাদুল শেখ (৪০),পিতা মোছাক শেখ, জাকির শেখ( ৩৫),মোছাক শেখ, রসিদ সরদার,পিতা মৃত ফজর সরদার, রিয়াজ শেখ( ২০), ইবাদুল শেখ অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নিজেরা শলাপরামর্শ কোরিয়া বিনা অপরাধে আরমান শেখ ওরফে মান্নাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।’
‘সংবাদ পেয়ে আরমান শেখ ওরফে মান্না বাড়িতে আসিয়া বিষয়টি উল্লেখিত মাতব্বরদের নিকট জবাবদিহি করিলে মাতব্বর গন তাকে বলে যে জরিমানার টাকা দিলে এসআই অনিল মুখার্জি কে ভাগ দেওয়া লাগবে। আর যদি না দেয়া হয় এসআই অনিল মুখার্জি কে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে দেওয়া হবে। অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আরমান শেখ ওরফে মান্না।’
‘এ বিষয়ে মোঃ আরমান শেখ ওরফে মান্না নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার বরাবর, ইং-১১-০৮-২০২০ তারিখে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপি এম (বার) বলেন এ বিষয়ে তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।’