সাম্প্রতিক শিরোনাম

শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে শেখ হাসিনার সরকার

শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

মুজিববর্ষেই দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় চলে আসবে। আর শতভাগ বিদ্যুতায়ন হতে আর মাত্র তিন শতাংশ এলাকা বাকি আছে। এখন শুধু দুর্গম চরাঞ্চলের কিছু অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়ন বাকি আছে।

করোনা পরিস্থিতির জন্য এসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আশার কথা হচ্ছে, দ্রুতগতিতে কাজ করায় সরকারের নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে, বর্তমানে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছে গেছে। বলা হচ্ছে আগামী বছরের আগস্ট মাসের আগেই অফগ্রিড এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

সরকার বেশ কিছু সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল দেশের ১৮টি জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এদিন ১৯টি নতুন বৈদ্যুতিক স্থাপনার যাত্রা শুরু হবে।

আশা করছি করোনাকালেও গ্রিড সেক্টরে এ বছরই শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। এরই মধ্যে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুতায়নের কাজ হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল অফগ্রিড এলাকা, অর্থাৎ চরাঞ্চলসহ শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ এ বছর শেষ করব।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই অফগ্রিড এলাকাগুলোর জন্য হয়তো শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে না। আবার কিছু নতুন চর সৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও এখন বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এগুলো আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে ছিল। এ ক্ষেত্রে এই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে আগামী বছর পুরোটাই লেগে যাবে।

তবে আগের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী আমরা আশা করছি, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই গ্রিড সেক্টরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহটি ‘বিদ্যুৎ সপ্তাহ’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের চারটি বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১১ বছরে আওয়ামী সরকারের প্রচেষ্টায় ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮টিতে। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবসরে গেছে। এ সময় মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ (২৪ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৫৭৬ মেগাওয়াট হয়েছে।

বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ শতাংশে পৌঁছেছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ থেকে হয়েছে ৩ কোটি ৭৪ লাখ।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...