মুক্তিযুদ্ধে মুক্তাঞ্চল রৌমারী উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ফটোসেশনের ঘটনায় এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এতে শহীদদের চরম অবমাননা করা হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে অনেকেই, করেছেন ব্যাপক সমালোচনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ কর্মসূচি একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের পরিদর্শক দল সোমবার জুতা পায় শহীদ মিনারে ফটোসেশন করে।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে রৌমারীতে। যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কলুষিত পা স্পর্শ করতে পারেনি।
আর সেখানেই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে পরিদর্শক দল কিভাবে ফটোসেশন করে। এতে শহীদের চরম অবমাননা করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, একজন জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা সমন্বয়কারী জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ঘোরাফেরা করে ছবি তোলা খুবই লজ্জাজনক। আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।
জেলা ও উপজেলা থেকে ৬ সদস্যের একটি পরিদর্শক দল রৌমারীতে একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠপর্যায় লেনদেন ও কার্যক্রম পরিদর্শন করে। এ নিয়ে আলোচনাসভাও অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পের নীলফামারী জেলা সমন্বয়কারী সিরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পরিদর্শনকারী শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে ওই ফটোসেশন করে।
রৌমারী উপজেলা ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) শাহিনুর ইসলাম বলেন, খালি পায়ে শহীদ মিনারে উঠতে হয় সে বিষয়টি আমাদের স্মরণ ছিল না। নীলমফামারী জেলা সমন্বয়কারী সিরাজ উদ্দিন বলেন, ভুলবশত ওটা হয়ে গেছে।