দেবব্রত দেবু, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার উজগ্রামের দুই ভাই মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস ও মোঃ হাছানুর রহমান বিশ্বাস। এবার তাদের ঘরটিও কেড়ে নিলো ঘূর্ণিঝড় আমপান। মিজানুর রহমান বিশ্বাস পেশায় একজন ভ্যান চালক স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ১ কন্যা মিলে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জন। হাসানুর রহমান পেশায় পিকআপ চালক। স্ত্রী এক পুত্র ও এক কন্যাসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। কোনো ফসলী জমি নেই তাদের, আছে শুধু মৃত পিতা ফরমান বিশ্বাসের রেখে যাওয়া ৯ শতাংশের উপরে পৈত্রিক ভিটা টুকু। দুই ভাইয়ের সংসারের ১১ সদস্য মিলে থাকতেন সেই বসতভিটায়। সেটুকুও ঝড়ের কবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো।
মোঃমিজানুর রহমান বিশ্বাসের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবথেকে বড় ছেলেটির বয়স ১৫ বছর, শুধুমাত্র বাবার আয়ে সংসার চালাতে অসুবিধা হওয়ায় পড়াশুনা বাদ দিয়ে কাজ করে কাপড়ের দোকানে। দ্বিতীয় ,তৃতীয় ও চতুর্থ পুত্রত্রয় যথাক্রমে পঞ্চম,তৃতীয় ও শিশু শ্রেণীতে পড়ে। মেয়ের বয়স দেড় বছর।
মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস বলেন, এমনিতি সংসার চালাতি হিমশিম খাচ্ছিলাম, তারপর ঘর ভ্যাঙ্গে আমি দিশেহারা হয়ে গিছি।কি করবো, কার কাছে যাবো,কিছুই বুঝতি পারছিনে।
অন্যদিকে মোঃ হাসানুর রহমান বিশ্বাসের একটি মেয়ে শিশু শ্রেণির ছাত্রী ও ছেলের বয়স আড়াই বছর। তিনি বলেন, অভাবের সংসারের ঝড়ের আঘাতে দিকহারা হয়ে পড়িছি।
ঘরের ছবি তুলতে গিয়ে বললাম উপজেলায় আপনারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন? উত্তরে দুই সহোদর বলেন, উপজেলা থেকে আমাগের ঘর করোনার আগে দেখে গেছে, তারপর তিনারা ঘরের জন্যি আবেদন করতি বলিছিলেন। আমরা আবেদন করিছি,তারপর আর কিছু জানিনে।
অবুঝ শিশুসন্তানদের নিয়ে তারা যেনো মাথা গোঁজার ঠাঁই পান এই কামনা করছেন এলাকবাসী।বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন তারা।