দৈনিক প্রথম আলোর কিশোর বিষয়ক ম্যাগাজিন কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে গিয়ে মর্মান্তিক মুত্যু হয়েছে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্র আবাসিক ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫)। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেছে সে।
এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
জানা গেছে, কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে কলেজের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি না জানানোর কারণে মৃত্যুর খবর গোপন থাকে। পরে সহপাঠীদের বিক্ষোভ ও ফেসবুকে পোস্টের কারণে ঘটনা জানাজানি হয়।
মৃত আবরারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলো আয়োজিত ‘লাভেলো কিআনন্দ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে গুরুতর আহত হয়। পরে আয়োজকরা তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, কিশোর আলোর অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্
ট হয়ে মারা যায়। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে আবরারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানটি চলতে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকেই।
আবরারের মরদেহ হাসপাতালে থাকাবস্থাতেই এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি লেখেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ক্লাস নাইনের ছাত্র নাইমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। ওখানেই জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পে তাকে নেয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার দেখেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আমি আর পাই নাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি। প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। নাইমুল আবরারের বাবা-মা এবং আত্মীয়রা আছেন। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবারের পরিবারের সঙ্গে থাকব। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছি। নাইমুল আবরারের জন্য দোয়া করছি।’