চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাসপাতালের ভেতরেই এক চিকিৎসককে জুতাপেটার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সুবোধ কুমার দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিশু বাসাইল পৌরসভার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি কানে ব্যথা অনুভব করলে শুক্রবার সকালে তার মা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত সুবোধ কুমার দাস ওই শিশুটির কানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। আউটডোরে রোগী দেখাতে হলে টাকা লাগে এমন অজুহাতে একপর্যায়ে শিশুটির মায়ের কাছে পাঁচ টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত সুবোধ। এ সময় ওই শিশুটির মা টাকা খুচরা করতে হাসপাতালের বাইরে যান।
এ সুযোগে শিশুটিকে শ্লীলতাহানি করেন সুবোধ কুমার দাস। মা হাসপাতালে ফিরে এলে শিশুটি তাকে শ্লীলতাহানির কথা জানায়। শিশুটির মা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যায়। এ সময় বিক্ষুব্দ জনতা অভিযুক্ত সুবোধকে হাসপাতালে ঢুকে জুতাপেটা ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দেয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুবোধ কুমার দাস বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় রোগী দেখি। এতে করে যদি কেউ খারাপ কিছু মনে করে তাতে আমার কিছু বলার নাই।’ শিশুটিকে শ্লীলতাহানির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে অন্যত্র বদলি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ জনতা তাকে জুতাপেটা করে ও কিল ঘুষি দেয়।’
ইউএনও শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্দ জনতাকে শান্ত করি। এ সময় অভিযোগকারী কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’