জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মেহেরপুর অঞ্চলের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এখন সময় হচ্ছে এই এলাকার জন্য কাজ করার। এলাকার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করে মেহেরপুর অঞ্চলকে মডেল হিসাবে দেশের কাছে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
কৃষিকাজ ও অন্যান্য কাজে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রয়োজন। তাই, পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এ অঞ্চলের নদীগুলো খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুরের শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীন বয়স্ক, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের মাঝে ভাতা বই বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ভাতাভোগীরা সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারছে। এ ছাড়াও সরকার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে এসে নিজেদেরকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারে।
করোনার কারণে কিছু কাজ বাধাগ্রস্ত হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনাকাল মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, পাবলিক প্রসিকিউটর, গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেন।
মেহেরপুর কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৩০ জন ভাতাভোগীর মধ্যে ভাতা রিতরণ করা হয়। মাসিক ৭৫০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয় ১০৯ জন ভাতাভোগীকে, মাসিক ৫০০ টাকা হারে বিধবা ভাতা প্রদান করা হয় ৬৯ জন ভাতাভোগীকে এবং মাসিক ৭৫০ টাকা হারে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয় ১৫২ জন ভাতাভোগীকে।