ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, করোনার শুরতে অনেকে বলেছিলেন মানুষ না খেয়ে মরবে। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। কিন্তু তাদের সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুযোগ্য নেতৃত্ব, দক্ষতা ও মানবতায় বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যায়নি।
পৃথিবীর যেসব দেশে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম, তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান থেকেও বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম।
করোনা মোকাবেলায় তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়। তার দক্ষতা ও মহানুভবতার কারণেই সঠিকভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।
করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর গত সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি।
বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণোদনার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার মনে করে, সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সংকটকালে গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবে।
বঙ্গবন্ধুকে যারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যারা স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই ১৫ আগস্টের বর্বরতম ঘটনা ঘটিয়েছিল। আজকেও যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা ষড়যন্ত্র করছে। যারা দেশ, অর্থনীতি ও অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আরও সোচ্চার হতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, সাংবাদিকতা নামক মহান পেশার লোকজনের দৈন্যদশার কথা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট। সেই প্রেস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।
জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও তথ্য অফিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
আলোচনা পর্ব শেষে সিলেট বিভাগের শতাধিক সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক বিতরণ করেন মন্ত্রী।