দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় উল্লেখ করে পাকিস্তান আমলের মতো আইন করার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। বিচার বিভাগের বিষয়ে স্বাধীনতার আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এমপি হারুনের প্রস্তাবের কড়া জবাব দিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের বিচার ব্যবস্থায় পরিচালিত হতে চাই। বাহাত্তরের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের আইন পরিচালিত হবে। ’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরী দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশ। যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক তাদের বিচারে পরিচালিত হতে চাই না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরী দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে এসময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি হারুনের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এদেশে বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সংসদকে ব্যবহার করে বিচারহীনতা শুরু হয়েছিল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বিএনপির ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে। জাতির জনকসহ শিশু রাসেলের হত্যা পর্যন্ত বিচার বন্ধের আইন করা হয়েছিল জিয়াউর রহমান সাহেবের আমলে।
বিরোধী দলীয় হুইপ বলেন, ৯১ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদকে অমানবিকভাবে কারাগারে রাখা হয়েছিল বিচারহীনতার মাধ্যমে। সেটিও বিএনপি করেছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রসিকিউটরকে এই বিএনপি স্বাধীন দেশে এনে মন্ত্রী বানিয়েছিল।