পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির প্রসঙ্গেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল সকাল ১০টা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডা. আবুল কালাম আজাদকে।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁকে আরো দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
২১ জুলাই বিতর্ক আর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে চরম দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা শৈথিল্য, পক্ষপাত এবং নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৬ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়।