সিগারেট বাকিতে না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে ক্যাম্পাস ফুড কর্নারে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বাকিতে সিগারেট না দেয়ার কারণেই তাকে মারধর করা হয়েছে।অভিযুক্ত শেখ সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।
মারধরের শিকার শাহ আলম (৪৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের ক্যাম্পাস ফুড কর্নার’র সত্ত্বাধিকারী।
দোকানদার আলম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগের এক কর্মী তার কাছে সিগারেটের জন্য আসেন। তিনি বলেন, সিগারেট নিতে হলে আগে টাকা দিতে হবে। আমি বাকিতে সিগারেট দেব না।
এ কথা বলার পর তার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সিয়ামের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন এসে আমাকে দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে মারধর করে।
পাশাপাশি আমার দোকানের টেবিল-চেয়ার মাটিতে আছড়ে ফেলে দেয়।তিনি আরও জানান, তার দোকানে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকিতে চা-সিগারেট খেয়ে যায়। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও টাকা পরিশোধ করেনি। লিখে রাখা সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে সেই টাকা তারা ফেরত দিতে অস্বীকার করে।
বিষয়টি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে একাধিকবার জানালে কোনো সমাধান হয়নি বলেও তিনি জানান।মারধরের সময়ে শেখ সিয়ামের সঙ্গে আরও তিনজন ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে।অভিযুক্ত সিয়ামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের বিষয়টি মিথ্যা।
করুণা পাওয়ার জন্য দোকানদার এমন মিথ্যা গল্প রটাচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি পরে সভাপতিকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি।