নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গ্রেফতারের বিষয়টি সিটিটিসির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। সিটিটিসি বলছে, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার পল্টনে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত। তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৪৫/১০নং বাসার মুক্তিযোদ্ধা মইনুল আহমদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
বাসা থেকে বোমা, বোমা তৈরির এবং কিছু কম্পিউটার সরঞ্জাম উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। উদ্ধারকৃত কম্পিউটারে বোমা তৈরির বেশকিছু ভিডিও ছিলো।পাঁচ ‘জঙ্গি’ সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
জঙ্গি নাইম ও সায়েমকে নিয়ে শাপলাবাগ আবাসিক এলাকার ৪০/এ শাহ ভিলা বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা একটি কম্পিউটার সেন্টারের সন্ধান পায়। ‘শাহ ভিলা’র মালিক শাহ মো. শামদ আলী জানিয়েছেন, নাইম ও সায়েম তার বাসার চারতলার ফ্ল্যাটটি গত দুই মাস আগে কম্পিউটার সেন্টার বানানোর জন্য ভাড়া নিয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে অবস্থান করেন না।
নাইমের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে পৃথক দুটি অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আরো চারজনকে। তন্মধ্যে জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে সানাউল ইসলাম সাদীকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। এছাড়া টুকেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।
তার আগে সিলেট নগরীর মিরাবাজার উদ্দীপন-৫১ নম্বর বাসা থেকে নাইমুজ্জামান নাইমকে গ্রেফতার করা হয়।
নাইম ও সাদী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে তারা কোন বিভাগের শিক্ষার্থী, তা জানা যায়নি।
সায়েম নামের একজন মদনমোহন কলেজের ছাত্র। গ্রেফতারকৃত বাকি দুইজনের মধ্যে আরেকজন কলেজ শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
৫ জঙ্গিকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে পুলিশ।