লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তে ধরলা নদী থেকে মো. তরিফুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি। ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব পিলার সন্নিকট ধরলা নদী থেকে। নিহত তরিফুল ইসলাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড আমবাড়ি এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর মাইয়ামরার ঘাট ধরলা নদী থেকে রবিবার বিকেল ৬টায় দিকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মামাত ভাই রাবিউল ইসলাম আবু জানান, শনিবার রাতে আমরা খবর পাই তরিফুল নিখোঁজ। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি যে, গত বুধবার বিকেলে আমবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গরু ব্যবসায়ী সামিনুর ইসলাম গরু পারাপারকারী তরিপুল ইসলাম, আইনুল হক, পিচ্ছি সুজন, রবিউল ইসলাম, কালা সাজুসহ ৬/৭ জনকে ভারত থেকে গরু আনার জন্য দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠায়। দুই দিন ভারতের গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকে। শুক্রবার ভোরে গরু আনার সময় তরিফুল নিখোঁজ হয়। রবিববার লাশ সীমান্তের ধরলা নদী থেকে উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ। আমরা তরিফুল নিহতের সুষ্টু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
ওই সীমান্তের ধরলা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্বার করেন। পরে মৃত তরিফুল ইসলামের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে। পাটগ্রাম থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাটগ্রাম থানায় নিয়ে আসে।
পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, সীমান্ত থেকে বুড়িমারী কোম্পানী বিজিবির সহায়তায় তরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কোথাও আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।