বগুড়ার সোনাতলার পদ্মপাড়ায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৪) বান্ধবীর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে রিয়াদ হোসেন (২৬) নামে এক কথিত যুবলীগ ক্যাডার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের পর থেকে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ঘটনা জানাজানির পর শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনাতলা থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি আসামি।
২৩ আগস্ট উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের পদ্মপাড়া পূর্ব গ্রামের স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে তারই বান্ধবী চম্পা বেগম গাইড দেওয়ার জন্য তার বাড়ি যেতে বলেন। ছাত্রীর বাড়ির পাশেই বান্ধবীর বাড়ি বলে সেখানে একাই যান গাইড আনতে।
তাদের বাড়ি পৌঁছানোর পর চম্পা ও তার স্বামী মাসুদ হোসেন একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। পরে ওই ঘরে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা একই এলাকার রিয়াদ হোসেন স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
রিয়াদ হোসেনের নামে এলাকায় বিভিন্ন লোকের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগও রয়েছে। তিনি যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আসছেন।
যুবলীগের কোনো পদে এ মুহূর্তে না থাকলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে চলাফেরা করেন তিনি।
এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন স্থানে তদবিরের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ধর্ষণ ছাড়া আর কোনো অভিযোগ আছে কি না সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।