তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার তিনটি পাম্পিং স্টেশন কমলাপুর, রামপুরা ও কল্যাণপুর থেকে ১৭টি পানির পাম্পসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেকগুলো পানির পাম্প দিয়ে শহর থেকে সেচের মাধ্যমে পানি বের করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
প্রতিটি পাম্প দিয়ে সেকেন্ডে ৫ হাজার লিটার পানি বের করা সম্ভব হচ্ছে, যা অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে জমানো পানির তুলনায় অনেক কম। সেজন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, রাজধানীর জলবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার সব জলাশয়গুলোতে পানির ধারণ ক্ষমতা ও প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকার আশেপাশের নদ-নদীগুলোকে ড্রেজিং করে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এই বিষয় মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে আগামীকাল এক জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে।
সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, রাজউক, মেট্টোরেল কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ যোগদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ সভায় সকল পক্ষের মতামত নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।