আসন্ন ঈদে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে সকলকে সচেতনতার জনযোদ্ধা হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দ যাত্রা যেন বিষাদ যাত্রায় রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কোনো প্রয়াসই কাজ দেবে না, ফল দেবে না লকডাউন কিংবা রেডজোন। তাই আসুন মনের মাঝে দৃঢ়তার দূর্গ নির্মাণ করে করণ সংকট প্রতিরোধ করি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষা, সনদ, প্লাজমা ডোনেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকটকে ঘিরে এক শ্রেণির অসাধু চক্র প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে এবং মানুষ ঠকাচ্ছে। সরকার এসব প্রতারণা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। এধরণের প্রতারণা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে নির্মম বাণিজ্য ছাড়া কিছু না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু মানুষ সংক্রমণ লুকিয়ে তথ্য গোপন করে চলাফেরা করছেন, আবার কেউ করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিমানবন্দরে পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিন। তথ্য গোপনের সঙ্গে দেশের ইমেজ, লাখ লাখ প্রবাসীর ভাগ্য এবং ভবিষ্যতও অনিশ্চয়তায় আবর্তিত হবে।’
বিদেশে যাওয়ার এই তীব্র প্রতিযোগিতা এবং সত্য গোপন রাখায় বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে এবং লাখ লাখ প্রবাসীদের অবিশ্বাস আর অনিশ্চয়তার আঁধারে ঠেলে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আক্রান্তদের চিকিৎসায় সম্মুখসারিতে থেকে যারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আবারও অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা ত্যাগ, মনোবল এবং সংকটে সহমর্মিতার যে নজির স্থাপন করেছেন জাতি তা শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে।’
কাদের বলেন, ঈদে সংক্রমণ বিস্তার রোধে আমাদের সবাইকে সচেতনতার জনযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে হবে। সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে নিজের ও পরিবারের সঙ্গে। পশুর হাট, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট, শপিংমলসহ প্রতিটি স্থানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষার বলয় তৈরি করতে হবে।’
এরই মধ্যে অনেক চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, নার্স, টেকনেলজিস্ট, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আমি তাদের আত্নার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’ মন্ত্রী এ সংকটে জাতির প্রয়োজনে দৃঢ় মনোবল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেকমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আবারও তার বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।