স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি দ্বায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগ দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যায় প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ। এসময় পুলিশ বাধা দেয়।
এর আগে ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপসারণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে লুটপাট সিন্ডিকেট হোতাদের গ্রেফতার এবং সকলের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একত্রিত হতে থাকে প্রগতিশীল সংগঠন সমূহের কর্মীরা। পরে তারা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যায়।
যে মন্ত্রণালয় দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা দিতে পারে না, সেই মন্ত্রণালয় আমাদের শ্রমজীবী মানুষদের কী নিশ্চয়তা দেবে? বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার কাজে ব্যর্থ। এদিকে করোনা দুর্যোগের শুরুর দিকে সরকার বলেছিলো আপনারা ঘরে থাকবেন, আমরা খাবার পৌঁছে দেবো, স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, আমাদের ঘরে কোন খাবার আসেনি। স্বাস্থ্যসেবাও আসেনি।
এই দুর্যোগের সাধারণ মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে চায়। কিন্তু এই সরকার করোনা পরীক্ষার জন্য টাকা নির্ধারণ করে দিলেন। যার ফলে দেশের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারেনি। আর যারা টাকা দিয়ে করেছেন, তাদের পরীক্ষা না করে ফলাফল দেওয়া হয়েছে। আর এসকল বিষয়ে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় চাই না, মন্ত্রীও চাইনা। অবশ্যই বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর থেকে সাধারণ জনগন করোনা টেস্টের জন্য কোন টাকা দিবে না, সকল টেস্টের ব্যবস্থা সরকারকে বিনামূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি, এই দুর্যোগে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সেক্টর কিভাবে দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে উঠেছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমাদের টাকা দিয়েই তারা চলেন। অথচ আমাদের স্বাস্থ্যসেবার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ হকার ইউনিয়ন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর জিরো পয়েন্ট চত্বরের কাছে পুলিশের এ বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর কর্মীরা সেখানে বসে যান এবং সমাবেশ করেন।