সাম্প্রতিক শিরোনাম

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে লাপাত্তা প্রায় পৌনে চার লাখ বিদেশফেরত

সরকারের কঠোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে লাপাত্তা প্রায় পৌনে চার লাখ বিদেশফেরত। তাঁরা না ছিলেন বাসায়, না ছিলেন সরকারের তত্ত্বাবধানে। কিভাবে এমনটা হয়েছে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকারের নির্দেশনা অনুসারে যাঁরাই বিদেশ থেকে দেশে ঢুকবেন তাঁদের অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে নিজ নিজ বাসায় কিংবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায়, যাঁদের সবাইকে নজরদারি করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সেখান থেকে যদি কারো উপসর্গ দেখা যায় কিংবা পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট আসে তবে তাঁদের আইসোলেশনে থাকতে হবে সংক্রমণ বিস্তার ঠেকানোর প্রথম উপায় হিসেবে।

সংক্রমণ বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিদেশফেরতদের কথাই বলছেন। কিভাবে এত বিদেশফেরত মানুষ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করলেন, সেটা নিয়েও বিস্মিত অনেকেই। এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাফিলতিকেই দুষছে সবাই।

দেশের বাইরে থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণ বিস্তার ঘটছে এমন তথ্য দিয়েছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই।

সেব্রিনা ফ্লোরা গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে একই সুরে বলেছেন, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে দেশে ঢুকছেন।

যাঁরা যেভাবেই দেশে প্রবেশ করুন না কেন সবাইকেই আমাদের হিসাবের মধ্যে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। সেটা ঢাকায় কিংবা ঢাকার বাইরে যেকোনো জায়গায়ই হোক না কেন।

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি যদি যে দেশ থেকে এসেছেন সেখানকার করোনা নেগেটিভ কাগজ দেখাতে পারেন তবে তাঁদের বাসায় কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেওয়া হয়। যাঁরা এই কাগজ দেখাতে পারেন না তাঁরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

যাঁরা বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তাঁরাও আমাদের মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকবেন গাইডলাইন অনুসারে। এর ব্যত্যয় হওয়ার কথা নয়। সব বন্দর ও স্থানীয় সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত বিমান, নৌ, রেল ও সড়ক পথে দেশে প্রবেশ করেছেন আট লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩ জন।

কিন্তু কোয়ারেন্টিনসংক্রান্ত তথ্যে দেখা গেছে, দেশে ছিলেন বা বিদেশ থেকে এসেছেন এমন সব মিলে কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট (গতকাল পর্যন্ত যাঁরা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তাঁদেরসহ) চার লাখ ৮৮ হাজার ৮২৩ জন।

হোম কোয়ারেন্টিনে চার লাখ ৫৮ হাজার ৮৬১ জন ও সরকারি বা অন্যান্য জায়গায় কোয়ারেন্টিন করেন ২৯ হাজার ৯৬২ জন। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৫২ হাজার ৪০৫ জন, বাকিরা কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ করেছেন।

বাকি তিন লাখ ৭৩ হাজার ১৪০ জন বিদেশ থেকে দেশের সীমানায় ঢুকে কিভাবে কোথায় গেলেন তার কোনো হদিস নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।

গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে চারটি মাধ্যমে দেশে ঢুকেছেন তিন হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে মাত্র এক হাজার ৮১১ জন কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৬৯৬ বাসায় ও অন্যান্য স্থানে ১১৫ জন।

বাকি এক হাজার ৫০২ জন বিদেশ থেকে আসা লোক কোথায় গেলেন তার খোঁজ নেই। যদিও এই সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথা। কারণ প্রতিদিন যাঁরা কোয়ারেন্টিনে ঢোকেন তাঁদের মধ্যে একটা অংশ আগে থেকেই দেশে ছিলেন যার আলাদা হিসাব পাওয়া যায় না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মিলিত তথ্যে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিষয়টি খুঁজে দেখছি। যাঁরা এর দায়িত্বে আছেন তাঁদের ডাকা হয়েছে।

ড. মুশতাক হোসেন বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণ বিস্তারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সর্বনাশটি ঘটেছে ঠিকমতো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন অনুসরণ করতে না পারা। বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন তাঁদের যেমন কোয়ারেন্টিন করা গেল না, তেমনি দেশের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে যাঁদের কোয়ারেন্টিন দরকার ছিল সেটা করা হয়নি। ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না প্রত্যাশিত মাত্রায়।

ডা. বে-নজীর আহম্মেদবলেন, দেশের বাইরে থেকে যাঁরাই দেশে ঢুকবেন তাঁরাই কোয়ারেন্টিনে যাবেন, এর কোনো বিকল্প নেই। এটা যদি না হয়ে থাকে তবে বিপদ আরো বড় হয়ে আমাদের জাপটে ধরবে। আর কেনই বা এটা করা হলো না বা হচ্ছে না, সেটা বোধগম্য নয়। হয়তো পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জায়গায় গলদ ছিল বা আছে বলেই এমনটা হচ্ছে।

বন্দরগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা উচিত। যেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

একটি বিমানে যদি এক শ যাত্রী আসেন, তাঁদের মধ্যে যদি দুজনও আক্রান্ত থেকে থাকেন তবে সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। যাঁরা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন তাঁরাও ওই দুজনের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...